কোমরের হাড় ক্ষয় হলে কি করতে হবে
ভূমিকা
এছাড়া আজকে আমাদের আলোচনায় থাকবে হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে যোগব্যায়ামের গুরুত্ব।কোমরের হাড় ক্ষয়ের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার চলুন আমরা এখন বিস্তারিত আলোচনা করি।
পেজের সূচিপত্রঃ কোমরের হাড় ক্ষয় হলে কি করতে হবে
- ভূমিকা
- কোমরের হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে ঘরোয়া পদ্ধতি
- কি কি খাবার খেলে হাড় ক্ষয় প্রতিরোধ করা
- কোমরের হাড় ক্ষয়ের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার
- হাড় ক্ষয় রোধে ভিটামিন ও খনিজের ভূমিকা
- কোমরের হাড় ক্ষয়ের লক্ষণ সমূহ
- কোমরের হাড় ক্ষয়ের প্রতিকার
- কোমরের হাড় ক্ষয় হলে ব্যথা কমানোর উপায়
- হাড়ের ক্ষয় হলে ব্যায়ামের গুরুত্ব
- সর্বশেষ কথা
কোমরের হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে ঘরোয়া পদ্ধতি
কোমরের হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে ঘরোয়া পদ্ধতিটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং কার্যকারী। আমরা যে নিয়মিত খাদ্য খেয়ে থাকি সে খাদ্য তালিকা টি হতে হবে পরিকল্পিত যেখানে থাকবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার, এবং এখানে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। আমরা জানি সকালের রোদে ভিটামিন ডি থাকে। শরীরের সহনশীল তাপমাত্রা সকালের রোদ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি উৎপাদন করতে সাহায্য করে তাই আমরা সকালের রোদকে উপভোগ করবো।
আমরা নিয়মিত ব্যায়াম করে হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে পারি যা হাড় কে মজবুত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত হাটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা ও যোগ ব্যায়াম করার সাহায্য হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এবং হাড় ক্ষয় রোগ প্রতিরোধ করে কোমরের হাড় সুস্থতার জন্য সুষম খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কি খাবার খেলে হাড় ক্ষয় প্রতিরোধ করা যায়
যেসব খাবার খেলে হাড় ক্ষয় প্রতিরোধ করা যায় তা হলো- দই, পালংশাক, বাঁধাকপি, ছোট মাছ, ডিমের কুসুম ফল জাতীয় খাবার বিশেষ করে সাইট্রাস ফল যেমন কমলা এবং লেবু যে সমস্ত ফল ভিটামিন সি এবংক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করে তা খাবার অত্যন্ত জরুরী মনেরাখবেন হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে পুষ্টিকর খাবার একটি অত্যন্ত গুরুত্ব বিষয় ।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হাড় ক্ষয় রোধে অত্যন্ত কার্যকর, যা সামুদ্রিক মাছ, আখের রস এবং বিভিন্ন ধরনের বীজে থেকে পাওয়া যায়। এছাড়াও শাকসবজি বিশেষ করে ব্রকলি, পালং শাক, বাঁধাকপি, বাদাম, তিল এবং অন্যান্য বীজের পুষ্টির উপাদান গুলো থেকে পাওয়া যায়। এছাড়া ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন কে হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে
যেহেতু ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ওমেগা থ্রি ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হাড় ক্ষয় প্রতিরোধের সহায়তা করে তাই এই সমস্ত উপাদান সমূহের সমন্বয়ে দৈনিক খাবার তালিকা তৈরি করতে হবে।
কোমরের হাড় ক্ষয়ের কারণ
কোমরের হাড় ক্ষয়ের লক্ষণ সমূহ
কোমরের হাড় ক্ষয় লক্ষণ সম্পর্কে যদি আমরা সঠিক ধারণা না রাখি তাহলে এ নীরব ব্যাধিটি এক সময় আমাদেরকে নিঃশেষ করে দিবে। এ রোগেটি ধীরে ধীরে কোমরে, ঘাড়ে, মেরুদন্ডে সামান্য ব্যথার অনুভব হয় সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে।
প্রাথমিক অবস্থায় ব্যথা তীব্রতা থাকে না ধীরে ধীরে ব্যাথা স্থায়ী হয় চারপাশে পেশি গুলো দুর্বল হয়ে যায় যার ফলে মেরুদন্ডে চাপ পড়ে এবং শারীরিক অস্বস্তি অনুভব হয়।অনেক সময় কাজ করতে যায়ে কোমরের হাড় দুর্বল হওয়ার কারণে বা কোন ভারী বস্তু তুলতে গেলে কোমরের ব্যথা শুরু হয় এমনকি সামান্য আঘাতে হাড় ভেঙ্গে যায়, মচকে যায়।
কোমরে টান ধরা বা পিঠে কুজো হয়ে থাকার মত সমস্যা দেখা যায়।
এছাড়া হাড় ক্ষয় হলে মানুষের উচ্চতা কমে যায় হাঁটা চলার অসুবিধা হয়
কোমরের হাড় ক্ষয়ে শারীরিক দুর্বলতা ও শরীরের ব্যথা সৃষ্টি হয় এ ধরনের লক্ষণ
দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসর পরামর্শ নিতে হবে ।
কোমরের হাড় ক্ষয়ের প্রতিকার
ভিটামিন কেঃ ভিটামিন কে হাড়ের খনিজকরণের জড়িত এবং হাড়ের মধ্যে ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে। এটি রক্ত জমাট বাঁধাতে ভূমিকা রাখে হাড়ের। ভিটামিন কে-১ পাওয়া যায় সবুজ শাক সবজিতে। ভিটামিন কে -২ পাওয়া যায়- প্রাণিজ পণ্যে। ভিটামিন কে উভয় প্রকারের পরিপুরক থেকে ও পাওয়া যায় ।
ভিটামিন- সিঃভিটামিন সি সংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় হাড়, তরুণাস্থি এবং সংযোগকারী টিস্যু গঠন এবং শক্তি প্রদান করে। এতে এন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যও আছে যা হাড় গঠনে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ফল থেকে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
ভিটামিন-এঃভিটামিন-এ অক্সিওব্লাস্টের কার্যকলাপের সহায়তা করে হাড়ের পরিপূর্ণতা পুনঃনির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ ভূমিকা পালন করে যা কোষ এবং হাড় তৈরি করে।
জিঙ্কঃ জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা পাশাপাশি হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে। দুগ্ধজাত খাবার, কুমড়ো বীজ, বাদাম এবং ডিমের মধ্যেও জিঙ্ক থাকে।
ম্যাগনেসিয়ামঃ হাড়ের অন্তবর্তী গ্রন্থগুলোতে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। হাড় ক্ষয়ের মত অসুখের ঝুঁকি কমাতে ম্যাগনেসিয়ার ভূমিকা অনেক। নানা রকম বীজ, বাদাম দানাশস্য থেকে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়।
কোমরের হাড় ক্ষয় হলে ব্যথা কমানোর উপায়
- বিশ্রামঃ ব্যথা কমানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিশ্রাম করতে হবে। সোয়া অবস্থায় বা কোমরের নিচে একটি বালিশ দিবেন যাতে কোমরের উপরে চাপ না পরে, কোমরের হাড়ে অতিরিক্ত চাপ পড়লে ব্যাথা বাড়বে। ব্যথা থাকা অবস্থায় ভারী বস্তু উঠাবেন না, ব্যায়াম করবেন না এবং দীর্ঘ সময় একইভাবে বসে থাকবেন না।
- গরম বা ঠান্ডা সেঁকঃ গরম বা ঠান্ডা সেঁক দিয়ে ব্যথা কমানো যায়। গরম বা ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার জন্য বাজারের ঔষুধের দোকানে প্লাস্টিকের রাবার জাতীয় প্যাক পাওয়া যায় যার ভিতরে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে অথবা ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা পানি দিয়ে সেঁক দিতে হবে। মনে রাখবেন গরম সেঁক রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সহায়তা করে এবং ঠান্ডা সেঁক মাংসপেশী ফোলা প্রদাহ থাকলে দিবেন।
- নিয়মিত ব্যায়ামঃ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন নিয়মিত কিছু সহজ ব্যায়াম কোমরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। কোমরের হাড়ের শক্তি বাড়াতে এবং সাপোর্ট দিতে নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে কোমরের হাড়ের ঘনত্ব মজবুত হয় রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং মেরুদন্ডের উপর চাপ কমে যা ব্যথা কমাতে কার্যকর।
- ওজন নিয়ন্ত্রণঃ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে কারন অতিরিক্ত ওজন কোমরের উপর চাপ ফেলে যা ব্যথা বাড়াতে সাহায্য করে তাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করে ওজন নিয়ন্ত্রণের রাখলে কোমরের ব্যথা কমাতে সহায়ক হবে।
হাড়ের ক্ষয় হলে ব্যায়ামের গুরুত্ব
হাড়ের ক্ষয় হলে করণীয়
সর্বশেষ কথা
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে কোমরের হাড় ক্ষয় হয় হলে আমাদের কি করতে হবে । কোন ধরনের খাবার খেতে হবে কোন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের প্রয়োজনীয়তা আছে আমাদের খাদ্য তালিকায় কোন ধরনের খাবার রাখলে কোমরের হাড় ক্ষয়ের প্রতিরোধ করা যাবে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে আশা করি এই আলোচনা থেকে আপনারা অবশ্যই উপকৃত হয়েছেন।
আমাদের সাথে থাকুন ফলো রাখুন অবশ্যই আমাদের বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে
সঠিক তথ্য পেয়ে ভবিষ্যতে আপনি আরো উপকৃত হবেন এবং আপনি সুনিশ্চিত থাকবেন যে
নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য ছাড়া আমরা কোন তথ্য শেয়ার করিনা। অবশ্যই আপনি
ভালো কমেন্ট করবেন এবং আমাদের কাজকে এগিয়ে নেওয়ার প্রেরণা যোগাবেন
ধন্যবাদ।
শেষকথা ব্লগ সাইট নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url