বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে কি কি লাগে

 

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে কি কি লাগে বাংলাদেশে পাসপোর্ট করার নিয়ম ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসা করার নিয়ম এবং ইন্ডিয়া ভিসার খরচ কত এসব বিষয় নিয়ে আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব।

বাংলাদেশ-থেকে-ভারতে-যেতে-কি-কি-লাগে

আপনি যদি ইন্ডিয়ান করতে চান তাহলে আমাদের ব্লকটি আপনাকে ইন্ডিয়ার সবচেয়ে সুন্দরী স্থানগুলো কোথায় অবস্থিত কিভাবে যাবেন কোথায় থাকবেন কোথায় খাওয়া-দাওয়া করবেন সব বিষয়গুলো জানতে পারবেন

পেজের সূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে কি কি লাগে 

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে কি কি লাগে

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে কি কি লাগে তা জানতে হলে আমাদের আজকের এই আলোচনার পুরোটাই আপনাকে পড়তে হবে তাহলে আপনি সম্পূর্ণ বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার গাইডলাইনটি পাবেন মনে রাখবেন যে কোন দেশে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ওই দেশের ভিসা থাকতে হবে তবে  ভিসা আবেদনের পূর্বে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের থেকে বেশ কিছু কাগজপত্র রেডি করেত হবে কোন ধরনের কাগজ কোন ধরনের কাগজপত্র রেডি করতে হবে তা আলোচনা করা হলো ----

  • ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্ট 
  • জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন 
  • সদ্য তোলা ২ ইঞ্চি বাই ২ ইঞ্চি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙিন ছবি 
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট 
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট পুলিশ ক্লিয়ারেন্স 
  • মেডিকেল ভিসার জন্য ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন এবং ভারতের ডাক্তারের অ্যাপার্টমেন্ট (তবে টুরিস্ট ভিসার জন্য এই কাগজপত্র প্রয়োজন হবে না)
  • করোনা ভ্যাকসনের টিকা সনদ
  • ঠিকানা প্রমাণের জন্য বিদ্যুৎ,গ্যাস ও পানি বিলের কাগজ লাগবে।

বাংলাদেশের পাসপোর্ট করার নিয়ম

বাংলাদেশের পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে তা না হলে আপনি পরবর্তী পদক্ষেপ গুলো নিতে পারবেন না। আপনি জেনে অত্যন্ত খুশি হবেন যে বাংলাদেশ বর্তমানে ই- পাসপোর্ট চালু করেছে। 

বিশ্বের ১১৯ তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট চালু করেছে এখন থেকে  আপনি নিজেই ঘরে বসে নিজের পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।ই-পাসপোর্ট এর আবেদন করার নিয়ম, খরচ ও আবেদন করার কতদিন পরে পাসপোর্ট পাবেন এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন ।

ই-পাসপোর্ট আবেদন যেভাবে করবেন

অনলাইনে আবেদন করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের অনলাইন ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইটটিতে যেতে হবে। ওয়েবসাইটিতে এখানে ক্লিক করুন। আপনাকে এখানে একটি সাধারন অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ওয়েব সাইটে ঢুকার পরে "ডিরেক্টলি টু অনলাইন এপ্লিকেশন" এ ক্লিক করতে হবে। 

সেখানে শুরুতেই এপ্লাই অনলাইন ফরম ই-পাসপোর্ট / রি-ইস্যু বাটনে ক্লিক করলে সরাসরি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে । এই পাসপোর্ট ফর্মে পাঁচটি ধাপে সম্পন্ন করা আছে প্রথম ধাপে বর্তমান ঠিকানার জেলা শহরের নাম ও থানার নাম নির্বাচন করে ক্লিক করতে হবে পরের ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য গুলো যা ই পাসপোর্ট এর মূল ফর্মটি পূরণ  করতে হবে তৃতীয় ধাপে মেয়াদ ও পৃষ্ঠা উল্লেখ করে সে অনুযায়ী টাকা জমা দিতে হবে।  

এক্ষেত্রে যেকোন ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে টাকা দাম জমা দেওয়া যাবে এছাড়া অনুমোদিত ৫ ব্যাংকের যে কোন একটি ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে সেই জমা স্লিপ নাম্বার জমা দিয়ে ফাইনাল সাবমিট করতে হবে।

পাসপোর্ট জমা দেওয়ার পর্বে সাবমিট করার পরে আপনার যদি কোথাও ভুল থেকে থাকে আপনি চাইলে তার সংশোধন করার সুযোগ পাবেন না তাই ভোটার আইডি কার্ডের সাথে সম্পন্ন মিল রেখে আপনি আপনার পাসপোর্টে ফরম ফিলাপ করবেন।

আরো পড়ুনঃ

ছবি তোলাও আঙ্গুলের ছাপ

আবেদন ফরম পূরণ করার পরে আপনার কাজ হবে পাসপোর্ট অফিসের সাথে যোগাযোগ করে আপনার ছবিা এবং আঙ্গুরের চাপ দেওয়া। ছবি তোলা এবং আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার জন্যে কত তারিখে আপনাকে অফিসে আসতে হবে তা জানতে পাসপোর্ট ফরম ও টাকা সাবমিট করার পরে ওয়েবসাইট থেকে পাবেন।

অফিসে আসার সময় অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি,পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে পাসপোর্ট নিয়ে অফিসে আসবেন, অবশ্যই সকল কাগজপত্রের মূল কপি সঙ্গে রাখবেন। ছবি ও আংগুলো ছাপের জন্য পাসপোর্ট অফিসের নির্দিষ্ট লাইনে দাঁড়াবেন ছবি তোলা, সব আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ ছবি নিবে।

ছবি তোলা, সব আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ গ্রহণে শেষে হলে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সহ একটি রিসিভ দিবে যা পাসপোর্ট গ্রহণের সময় ডেলিভারির প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। 

অনলাইনে ফরম পূরণের সময় আপনাকে মোবাইল নাম্বার দিতে হয়েছিল, আপনার পাসপোর্ট হয়ে গেলে সেই মোবাইল নাম্বারে আপনাকে মেসেজ করে জানাবে সেই তারিখ অনুযায়ী অফিসে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগবে এই কথা এক বাক্যে বলা সম্ভব না। কারন পাসপোর্ট এর অনেকগুলো প্রকারভেদ যাচ্ছে, অনেক রকমের পাসপোর্ট হয়ে থাকে। যেমন বয়সে অনুযায়ী পাসপোর্ট,  পৃষ্ঠা অনুযায়ী এবং কত দিনের মধ্যে  নিবেন তার উপর ভিত্তিতে টাকা কম বেশি হয়ে থাকে চলুন আমরা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি-

  • ৪৮ পৃষ্ঠা পাঁচ বছর মেয়াদীঃ বাংলাদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে সাধারণ (একুশ কর্ম দিবসে) ৪,০২৫/-  টাকা জরুরী ক্ষেত্রে (১০ কর্ম দিবস) ৬,৩২৫/- টাকা জরুরী ক্ষেত্রে (দুই কর্ম দিবস) ৮,৬২৫/- টাকা জমা দিতে হবে।
  • ৪৮ পৃষ্ঠা দশ বছর মেয়াদীঃ ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে সাধারণ (একুশ কর্ম দিবসে) ৫,৭৫০/-  টাকা জরুরী ক্ষেত্রে (১০ কর্ম দিবস) ৮,০৫০/- টাকা জরুরী ক্ষেত্রে (দুই কর্ম দিবস) ১০৩৫০/- টাকা জমা দিতে হবে।
  • ৬৪ পৃষ্ঠা পাঁচ বছর মেয়াদীঃ ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে সাধারণ (একুশ কর্ম দিবসে) ৬,৩২৫/-  টাকা জরুরী ক্ষেত্রে (১০ কর্ম দিবস) ৮,৬২৫/- টাকা জরুরী ক্ষেত্রে (দুই কর্ম দিবস) ১২০৭৫/- টাকা জমা দিতে হবে।
  • ৬৪ পৃষ্ঠা ১০ বছর মেয়াদীঃ ৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে সাধারণ (একুশ কর্ম দিবসে) ৮,০৫০/-  টাকা জরুরী ক্ষেত্রে (১০ কর্ম দিবস) ১০,৩৫০/- টাকা জরুরী ক্ষেত্রে (দুই কর্ম দিবস) ১৩৮০০/- টাকা জমা দিতে হবে।

আপনার প্রয়োজন এবং সুবিধা অনুযায়ী যে কোন একটি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। তবে ১৮ বছরের নিচে এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সী আবেদনকারী কেবলমাত্র ৫ বছরের মেয়াদী পাসপোর্ট সেবা পাবেন। 

বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে কত টাকা লাগবে

বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে কত টাকা লাগবে এই কথাটা সবার মনেই প্রশ্ন জাগে বিশেষ করে যারা প্রথম বার যায়। এটা খুব স্বাভাবিক অচেনা নতুন জায়গা, ভিন্ন দেশ আশেপাশে সহযোগিতার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি এই ধারণাটা সম্পূর্ণ রূপে বুঝতে পারবেন আপনার কেমন টাকা নিয়ে যাওয়া উচিত।

বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে কত টাকা লাগবে এর উত্তর খুঁজতে গেলে প্রথমে আপনাকে খুঁজে বাহির করতে হবে কেন যাবেন, কোথায় যাবেন, কোন কাজে যাবেন, কত দিনের জন্য যাবেন। আমাদের দেশের মানুষ  সাধারণত  চিকিৎসার জন্য যায়, ভ্রমণের জন্য যায় এবং ব্যবসার জন্য যায় যে কারণে যাক না কেন যাতায়াত খরচ, থাকা খরচ, খাওয়া খরচ এগুলো উপর নির্ভর করে আপনার খরচ নির্ভর করবে। 

যাতায়াত খরচ

  • সড়ক পথঃ বাংলাদেশ থেকে ভারতে সড়ক পথে যাওয়ার জন্য অনেকগুলো ইমিগ্রেশন পয়েন্ট রয়েছে। আপনি কোথায় থেকে যাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে আপনি কোন ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে বর্ডার ক্রস কর্রডা তার সিদ্ধান্ত আপনাকে নিতে হবে।
  • বাংলাদেশের ঢাকা থেকে কলকাতা সরাসরি বাস চলাচলের ব্যবস্থা আছে। গ্রীন লাইন, শ্যামলী পরিবহনের সৌহার্য বাস বাংলাদেশের থেকে কলকাতা যায় আপনি চাইলে এসব বাসে যেতে পারবেন। সড়কপথে বাংলাদেশ থেকে ভারতের দিকে সর্বনিম্ন দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা খরচ হয়।
  • রেল পথঃ বাংলাদেশ থেকে ভারতের সরাসরি রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে।  ঢাকা থেকে সরাসরি মৈত্রী এক্সপ্রেস ভারতের কলকাতা রেল স্টেশন পর্যন্ত যাতায়াত করে। রেলের দুই পাশে দুই দেশের দুটি ইমিগ্রেশন পয়েন্ট হয়েছে মাঝখানে ইমিগ্রেশনের কোন ঝামেলা নেই।
  • বাংলাদেশের থেকে শুধুমাত্র ঢাকা কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে অফলাইনে টিকিট কাটতে পারবেন মৈত্রী এক্সপ্রেস এর অনলাইনে কোন টিকেট কাটা হয় তা হয় না টিকিট কাটার সময় অবশ্যই আপনাকে পাসপোর্ট এবং ভারতের ভিসা সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। রেল পথে যেতে রেল পথে যেতে ১৫০০ থেকে  দুই হাজার টাকা খরচ হতে পারে। আবার অনেকে সময় এর বেশিও লাগে ।
  • আকাশ পথঃ আকাশ পথে ভারত যেতে চাইলে অন্যান্য দেশে যেতে যে প্রসেসিং গুলোকে ব্যবহার করতে হয় একই রকমই করতে হবে। কোন ঝামেলা ছাড়া আপনি যদি খুব অল্প সময়ে ভারতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য আকাশ পথে যাওয়া ভালো হবে।
  • তবে এখানে সমস্যা হচ্ছে আকাশ পথে খরচ হয় কয়েক গুণ বেশি আপনার সময় এবং অর্থের সমস্যা না থাকলে অবশ্যই আপনি আকাশ পথকে বেছে নিতে পারেন বাংলাদেশ থেকে ভারতের কলকাতা দিল্লি চেন্নাই বিভিন্ন রুটে বিমান নিয়মিত যাতায়াত করে সময়ের সাপেক্ষে বিভিন্ন সময়ে বিমানের ভাড়া কম বেশি হয় তবে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা মধ্যে আপনি ভারতে আকাশ পথে হতে যেতে পারবেন।

সুতরাং এসে উপর ভিত্তি করে আপনার যা তাদের খরচ নির্ভর করবে এখন ভেবে দেখার বিষয় আপনার সময় অর্থ এবং জরুরতের উপর নির্ভর করে আপনাকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

ভারতের কত টাকা নিয়ে যাওয়া যায়

ভারতে কত টাকা নিয়ে যাওয়া যায় এই প্রশ্নটা সবার মনের মধ্যে থাকে। ভারতে আপনি টাকা ব্যবহার করতে পারবেন না সে জন্যে এক্সচেঞ্জ এজেন্সি থেকে টাকার পরিবর্তে ভারতের মুদ্রার রূপি ক্রয় করতে হবে এক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে টাকা এবং মুদ্রার বিনিময় হার কত?
যেহেতু এক্সচেঞ্জ রেট নিয়মিত চেঞ্জ হয় তাই সর্বশেষ বা আপনি যখন যাবেন সে রেট জানতে গুগলে এসে "আজকে বাংলাদেশ-ভারতের মুদ্রার রেট কত" লিখে সার্চ দিলে আপনি ঐ দিনের রেটটা পেয়ে যাবেন। 
সাধারণত আপনি যদি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যান তাহলে ৩০-৪০ হাজার টাকা হলে আপনি ঘুরে আসতে পারবেন। আর যদি আপনি চিকিৎসা ক্ষেত্রে যান তাহলে টাকার পরিমাণটা চিকিৎসার উপর নির্ভর করেবে যাবে আপনি শুধুমাত্র মেডিকেল চেকআপের জন্য যান তাহলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা হলে চলবে।
আবার অপারেশনের ক্ষেত্রে গেলেন ডাক্তার যে পরামর্শ দিবে সে অনুযায়ী আপনাকে টাকা নিয়ে যেতে হবে ব্যবসার কাজে গেলে আপনি যা প্রোডাক্ট ক্রয় করবেন তার উপর নির্ভর করে আপনাকে টাকা নিয়ে যেতে হবে।
তবে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই ভারতে যেয়ে আপনার টাকা প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ থেকে  টাকা পাঠানোর ব্যবস্তা আছে। আমরা পরবর্তীতে তানি আলোচনা করবো। 

বাংলাদেশ থেকে ভারতে টাকা পাঠানোর উপায়

বাংলাদেশ থেকে ভারতের টাকা পাঠানো অনেকগুলো উপায় আছে যে উপায় গুলো খুব ভালো আমরা সে গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
  • ডুয়েল কারেন্সিঃ ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সেবাটি পেতে হলে বাংলাদেশের তফশিল ভুক্ত অনলাইন যেকোনো একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। আপনি যে দেশে যাবেন সে দেশের কারেন্সির সাথে বাংলাদেশের কারেন্সির বিনিময় কার্ডের মাধ্যমে  করতে পারবেন। ডুয়েল কারেন্সির মাধ্যমে  আপনি সহজ এবং ঝামেলা ছাড়াই অর্থনৈতিক লেনদেন করতে পারবেন।
  •  ধরুন আপনার ডুয়েল কারেন্সি কার্ড আছে আপনি টাকা এবং রুপি কনভার্টের অনুমতি নিয়েছেন। আপনার প্রয়োজন হলে বাংলাদেশে আপনার একাউন্টে টাকা জমা দিলে আপনি ঐ কার্ড দিয়ে ভারতের যেকোনো ব্যাংক থেকে রুপি উত্তোলন করতে পারবেন আবার ভারত থেকে ফিরে এসে আপনার একাউন্টে যে রুপি থাকবে তা বাংলাদেশ টাকা কনভার্ট করতে পারবেন। 
  • লোকাল সেবাঃ আমি ভারতে যেখানে অবস্থান করছেন সেখানকার আশেপাশে কাউকে জিজ্ঞেস করবেন এখানে এক্সচেঞ্জ এর অফিস কোথায় আছে সেখানে যেয়ে তাদের অ্যাকাউন্ট নিয়ে আপনি তাদের একাউন্টে বাংলাদেশ থেকে টাকা দিলে ওরা আপনাকে রুপি দিবে।

ইন্ডিয়া ভিসা করার নিয়ম

ইন্ডিয়া ভিসা করার নিয়ম বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে কি কি লাগে তার একটি অন্যতম  গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিদেশ ভ্রমণ মানে বাংলাদেশিদের কাছে প্রথম পছন্দের নাম ভারত, ভারতের রয়েছে অতুলনীয় দৃশ্যমান সৌন্দর্যের প্রতীক। ভারতে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় অনলাইনে, অনলাইনে আবেদনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ইতিপূর্বে আলোচনা করা হলেও  এখানে বিসস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ইন্ডিয়া ভিসা আবেদনের জন্য  অনলাইনে আবেদনের করতে হবে। আবেদনের জন্যে কিছু শর্ত থাকে এই শর্তাবলী পূরণ হলে আপনি আবেদন করতে পারবেন নিচে  শর্তাবলীগুলো আলোচনা করা হলো--
১। মূল পাসপোর্ট ভিসার আবেদন দাখিল করার তারিখের আগ থেকে সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে, পাসপোর্ট এর অন্তত দুটি সাদা পাতা থাকতে হবে যতে তারিখ  বাড়ানোর যদি প্রয়োজন হলে করা যায়।
২। আবেদনের সঙ্গে আগের কোনো পাসপোর্ট থাকলে অবশ্যই জমা দিতে হবে।
৩। একটি সদ্য তোলা রঙিন ছবি তোলা (তিন মাসের বেশি পুরনো নয় এমন) ২ ইঞ্চি * ২ইঞ্চি সাইজের যার ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা কালার হতে হবে।
৪। ঠিকানা প্রমাণের জন্য  বিদ্যুৎ, গ্যাস,  পানি বা টেলিফোন ইত্যাদির যেকোনো একটি বিলের কপি সংযুক্ত করতে হবে।
৫। শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি সংযুক্ত করতে হবে। অবসর প্রাপ্ত ব্যাক্তি হলে অবসর প্রাপ্তের কাগজপত্র  এবং বিজনেস করে এমন  ব্যক্তির বিজনেসের সনদপত্র লাগবে।
৬। আর্থিক সচলতা প্রমাণপত্রের জন্যে আবেদনকারীর জন্ প্রতি ১৫০ মার্কেন্ট ডলার  বা সমান মানের বৈদেশিক মুদ্রার এন্ড্রোসমেন্ট বা আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড অথবা সর্বশেষ ৩ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টের অনুলিপি দিতে হবে।
৭। সমস্ত ডকুমেন্টগুলো আপনার ঠিক থাকলে এই লিংকে ক্লিকের মাধ্যমে আপনি আবেদন পত্রের কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন   অথবা https://indianvisa-bangladesh.nic.in/visa লিংক ভিজিট করুন।
৭। অনলাইনে এপ্লিকেশন করা নির্দিষ্ট স্থানের ছবি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে
৮। সাক্ষাৎকারের দিন আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই পূর্বের সব পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং সব পুরনো পাসওয়ার্ড ছাড়া আবেদনপত্রে অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হবে।
৯। বাংলাদেশে অবস্থানরতসকল বাংলাদেশী নাগরিকের জন্য ভারতের ভিসার সাক্ষাৎকার ওয়াক-ইন পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

ইন্ডিয়ান ভিসা কোথা থেকে সংগ্রহ করবেন

অঞ্চলে ভেদে ইন্ডিয়ার ভিসা আলাদা  আইন ভ্যাক আছে এবারে আমাদের আলোচনার বিষয় কোন অঞ্চলে কোন ব্যক্তি কোন আইভ্যাক থেকে  ইন্ডিয়ান ভিসা সংগ্রহ করবেন-
অনলাইনে নিবন্ধনের পর  সাক্ষাতকারের মাধ্যমে ভিসার আবেদন পত্র দাখিল করতে হবে।   
চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট বিভাগ ব্যতিত অন্যান্য বিভাগের বসবাসকারীরা ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কের আইভ্যাক  ভিসা আবেদন করতে পারবে।

যে সব পাসপোর্টধারী খুলনা বিভাগ, ময়মনসিং বিভাগ, বরিশাল বিভাগ, সিলেট বিভাগের  বাসিন্দা তারা নিজ নিজ বিভাগের আইভ্যাক থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করবেন। যারা রাজশাহী বিভাগে বাস করছেন তারা রাজশাহী আইভ্যাক  ও রংপুরের আইভ্যাকে   আবেদন করতে পারবেন এবং যারা সিলেটে বাস করছেন তারা সিলেট আইভ্যা পাসপোর্ট সংগ্রহ করবেন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে বাস করবেন তারা চট্টগ্রাম আইভ্যা  থেকেপাসপোর্ট সংগ্রহ করবেন।

ইন্ডিয়ার টুরিস্ট ভিসার খরচ কত

























































































এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেষকথা ব্লগ সাইট নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url